সাগরিকা – ২
নখগুলো চিরকাল হাতুড়ে বিদ্যায় পারদর্শী ,
জঙ্ঘা বুক যেখানেই তুলতুলে হুমড়ি খেয়ে
সমগ্র দালাল স্ট্রিট ব্রোকার ;
থুথু দিয়ে টাকা গুণে নিতে বড় সখ , স্যাঁতসেঁতে গান্ধী মূর্তি
উপোষী রাতে পেছনের পকেটে সাহস বাড়িয়ে
বৃষ্টি ভাঙ্গি ; রেডলাইট এফোঁড়-ওফোঁড়
প্রত্যেকটা ঘর হতে শালা মেনি বিড়াল ম্যাও ম্যাও
দুধ না মাছের আঁশটে গন্ধ কে জানে !
আর উচ্ছিষ্ট খাওয়াটাও তো ধর্মের মধ্যেই পরে না কি ?
না না , পতন পুরুষ ভেবো না এভাবে "রি"
অনন্ত ঘুম থেকে চুরি গেছে এক গন্ধুস সময় ইজেরের দড়ি'র স্পর্শ
অথচ ফুটবল মাঠে এতো বল
পায়ে নেচে
আমি অফ সাইডে ম্যাচিং অর্ডার পাবোই এবার ,
রি - পুনর্জন্মে তুমি জবা হলেও না না না -- পারবোনা
অঞ্জলি চরাতে দেবী পায়।
সাগরিকা অথবা এখন
অপূর্ববিদ্যা জেনেছি ক্ষয়ে যাবার মরণের আগে
অশরীরী আত্মবলিদানে ;
পিণ্ড ধান দুব্বা মঙ্গলশঙ্খে'র এক উৎপীড়ন
মৃত্যুতে মৃত্যুর আগে মৃত্যুর পরেও বা-
অথচ দ্বিজমাধব
একবার নিঃশেষ , ধ্যানে সমাধি ক্ষরণে ,
একমাত্রিক অনুভবে লব্ধিত শব্দে শবে
এক নাম , জান না !
নিষেধের ভ্রান্তকালে নিষিক্তের যন্ত্র পিটুইটারি-
গনকক্কাস
সাদা কফে ---- না না না ভুল ভেবো না
সাগরিকা
উদ্বেগ অনেক গোপনাঙ্গের মন্ত্রণায়
টোপ ছাড়া মাছ ধরা !
মানবে না তুমি
সময় শুধুই নিষিক্তের অভিপ্রায়ে ......
হেমলক
তারপর পাত্র হতে অতিরিক্ত হেমলক উপচে পড়ল ;
বৃদ্ধ নিষিদ্ধ সক্রেটিস ঘুমিয়ে গেলেই
দর্শনে চোখ রাখলেন ভারতীয় অধ্যাপক , চশমা নাকে এলে
স্ত্রী বুঝলেন আঁধার বাড়ছে জীবনে ।
ওদিকে প্যারিস আর্ট হাউস নিলামে উঠছে জেনে
নাভির বাজারদর তলানিতে
আঁধার পরী খাবি খাচ্ছে দ্বিতীয় পিকাসোকে জাগাতে পারলে
বেশ হয় - আচ্ছা করে ভূমধ্যসাগরীয় ওয়াইনে
মিটিয়ে নেওয়া যেত জ্বালা , শালা চামচিকের দল ...
বৃদ্ধ ঘুমিয়ে আছেন পিতার মত কবরে ; যতদিন ছিলেন
কেশো রুগীর মত জ্বালিয়েছেন পৃথিবী ...
ছায় ও যেদিন শিল্প হয়ে হাততালি কুড়িয়ে মজা লোটেন শিল্পী
বুঝি বাবা কাঁদতেন কেন বায়স্কোপ দেখে শিশুর মতো
বৃদ্ধ আর ঈশ্বর যখন পাশাপাশি হাঁটেন বেহেস্তে
ঈসদ ঠোটে মুচকি হাসি দু'জনের
মূর্খের দল
"জন্মিলাম তিনজন মরে ভেসে যায় কোন জন "
রহস্য যতদিন গোপন থাকে ততদিন আয়ু রহস্যর ,
প্রকাশিত হয় বলে আমি কবিতা লিখি- পাঠকের
চুলচেরা বিশ্লেষণে নতুন ধারাপাত ...
স্তব্ধতা নিয়ম মাফিক , একাকীত্ব , হা-হুতাস চাঁদ
বনোফুল আর আস্ত এক সাম্রাজ্য নিয়ে তিন অধীশ্বর
সৃষ্টি করেছিলেন আকাশ জল অন্তরীক্ষ
ভেবেছিলেন বেশ আছেন ফুল ফল রেণুতে আগামী দেখে
কাটিয়ে দেবেন সময় - সময় অফুরাণ এখানে !
নাহ ! মজা নেই ! জীবনে প্রথম প্রথম একাকী থাকা
বেশ লাগে - যেন প্রথম পর্ণ দেখার মজার মত
বারবার দেখলে অভ্যাস বেইমানী করে- যা বলছিলাম
তিন মহাপ্রতাপশালী অধীশ্বর
তবুও একা , খাবারটা - কাঠকুটো উনুন উফঃ
ঝামেলা , পারা যায় ? যতোই হোক পুরুষ তো ?
হে হে - এছাড়া মনে এক সুপ্ত বাসনাও আছে বটে-
কি যে বলেন- হে হে , কে না চাই
গৃহ কর্তা সেজে নিজে হুঁকো এগিয়ে দিক রাম !
আর ইয়ে
মাঝে মাঝে বুকের হাঁস হাঁসফাঁস করে - শরীরক্রিয়া
বাধ্য নয় জীবনে'র , সেই সব মহেন্দ্রক্ষণ
বোঝো তো - উষ্ণতা কে না চাই ? পাগলের মনোভাব ।
শাদা বুড়ো রেগে ওঠেন , বেয়াদপ , স্বয়ং সৃষ্টি
করেছি আমি- মনে মনে তোর তবে এতো কিছু ছিল ?
গুরুদেব বুঝুন একবার , মিনমিন স্বরে পাগল
প্রজা না বাড়লে চালটা কলা মুলো কুমড়ো উপঢৌকন
আসবে কথুকে ? আর কেই বা শুনবে আপনার বাণী ?
বিষ্ণুপদ এতক্ষন চুপ ছিলেন , " সত্যি কথা বটেক ,
মুই পোর্টফলিয়ো একটা পাইয়াছি বটে , কাজ নাই
চাপরাশি পিয়ন রামকানাই থাকিলে ভাল হইত ,
এদিকে পি এম এর সেই ইচ্ছা দেখা যাইতেছে না যে " ,
গুপ্ত বাঙ্কারে তিন জন , কি করা যায় ?
প্রথম বুড়োর চুল শাদা হয়ে গেল চিন্তায় --
হাভানা চুরুটে গমগম বাতাস - পথ নেই ?
এক দিন বৈতরণী তীরে
বসে ভাবেন কি করা যায় , হঠাৎ
খরস্রোতে , আশ্চর্য , এক দেহ ভেসে যায়
ঝাঁপ দেন পাগল , তুলে নেন কূলে
ক্ষানিক পর্যবেক্ষণ - না আমাদের মত শরীর নয়তো
আবার মন্ত্রণা কক্ষে
সর্ব সিধান্ত " নব্যকে পাগলের ঘরে রাখিয়া দাও "
পুনশ্চ - আমি অমৃতস্য পুত্র
গমগম আঁচে ভাত রাঁধছেন মা ...
অধীশ্বরের রসদ ভাণ্ডার পূর্ণ
চুনাব বক্স
দাবা ছক এক চাল ঘোড়া গজ
ভূভারত তমসা আঁধার অধঃক্ষেপ
অষ্টদশ দিবা শর রথ ধূম্র টঙ্কার
অতীত গল্প পাঠ্য বিশ্বাস ?
মহাজন বিশবোল খেল মহুয়া বন
মাদল চাঁদ হরিণ চারণ ভূমি নবদ্বীপ
ঠুনকো সাইরেন গাড়ি জলপাই উর্দি
বিবাহ ফতেয়া সীমাহীন লাশ ।
দাবা ছক এক চাল ঘোড়া গজ
শিশু বেবিফুড চাল কাঁকর আফিম বিক্রেতা
শুয়োরের আখড়া ধুতি টান রাইস প্রাইস
নিয়ন্ত্রাধিন রাষ্ট্র ব্যাংক এফ সি আই গুদাম
গেহু ভাসলো সাগর নিরন্ন নেমে দুই ধাপ ৩৯
স্বখেদে বিদেশ ওয়াইন রঙিন রাত প্যারিস
জি ৮ ব্রিক ফুসফুস নতুন বায়ু ।
দাবা ছক এক চাল ঘোড়া গজ
প্রাচীন ভারত জীবন মরণ সংশয়
আশ্চর্য মহাজনী বাজী মাটি মরো
মরো চুনাব বক্সে তবু আছি ।
পাগলী পাগলা
পাগলী রাস্তা থেকে সরে গেল এই মাত্র
হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েই
গোলাপ বাগানে চাপচাপ রক্ত
দ্বন্দ্ব সমকালীন
ঠোট রক্তকষ
বানজারা চাঁদ
মোরগের ঝুঁটিতে রেখে দৃষ্টি শরীর পতন
ব্যারিকেট ভেঙ্গে সাম্রাজ্য জল
লেজ নাড়ছেনা
একটাও কুকুর মন্দিরে
রাস্তার ধারে
পাগলীর চোখ শাদা , নিঝুম দুপুর
পাগল শোনে না কথা পাগলীর
ফ্যানাভাতে মাছি চাটছে মজা
দামোদর নদে গ্যালন গ্যালন লাল জল
শকুন , কাশ বনে শেয়াল-কুকুর
টানাটানি মজ্জা
লাল নীল ধ্বজা
পতপত বাললা গাছে
কুরু-পাণ্ডব নীল চোখ "শকুনি "
অন্ধ প্রপিতামহ
আগুন চোর
পাগল পাগলীর ঠোটে ঠোট মেলানোর গল্প এলো না
এক হাওয়া
উড়িয়ে নিয়েছে দুই শরীর - দেখি
যদি আগামী দ্বীপে হয় দ্যাখা
ঘুম ঘুম ঘুমঘোড়ে ফুরিয়ে গ্যাছে কুঁড়ি
নিঃস্ব বিশ্ব বিশ্ব নিঃস্ব জীবন বৈকালিক ঘুড়ি
ছুঁড়ি মুড়ি পাকাল জালি নষ্ট মেয়ে খানি
বিশ্ব পিতা মূর্খ ভ্রাতা পৃথিবী আগুন খনি
পাগলা দেখগে গিয়ে যৌনাচার মুড়িমুড়কি ।
সনেট
নিশভোর আলপনা শিশির, মনন
উপেক্ষার উদাসীন দৃষ্টি , দানবেরা
কতকিছু রেখে যায় ব্যাংক স্থাবর
অস্থাবর সেবাদাসী ; আমার নেই
কিছুই নেই সম্পদ,শুধু অন্ধকারে
দমচাপা নিরালায় একা একা পরে
আছে কিছু স্মৃতি কথা মড়া মানুষের
বিবর্ণ ধুসর ছায় মেখে পাণ্ডুলিপি
দায়ভার বেহিসেবী যন্ত্রণা জীবনে
আরো সঙ্গবদ্ধ হলে মানুষেরা পাশে ,
মায়া অযথা উদ্বেগ হারানো ভয়
প্রনিপাতে মূল্যবোধ আহাঃ অফুরান্ত
সময় ! পূর্বপুরুষ , নর্তকী হারেম
আমাদের সংসারে বারবার এসে !
নন্দিনী এক গৃহস্ত কবিতায় ...
ভাঙ্গা চেয়ার উল্টে পরে আছে সিঁড়ি ঘরে যেখানে আমার
এভন সাইকেল ঘুমিয়ে আছে নিথর- আপন জন'রা এমনটি থাকে
চোখে-কাজলে ভাঙ্গা আরশিতে , আবছায় , আবডালে , থাকে ।
এই হেমন্তে বীজ বুনে নীল জ্যোৎস্নায় তারা দৃষ্টিপাতে খসে পরে
যে খণ্ড আমি , আমি , আমার ভবিষ্যৎ ভবিতব্য , এবং মনস্তাত্ত্বিক
বিভেদে স্ত্রী প্রশ্ন এই রূপান্তরিত বীজ ফসলের উষ্ণতায় যদি ভুলে
গিয়ে পরিচয় সঙ্গমে রেণু মেখে অতীত যাপনের ধ্রুব সাক্ষ্যর বাহক
হতে পেরেছে কি ?
তোকে ছুঁয়ে ফেলেছি ঠিক আমি'রে , ঈশানের মেঘে এভাবেই আলিপুর
থেকে আসুক ঝড়ের পূর্বাভাস - ষাঁড়াষাঁড়ি বাণের সতর্ক সংকেত
সীমান্ত উত্তপ বুলেট এড্রনালী পচা ঘা কর্কট মূর্ছা বায়ু রোগের
প্রাদুর্ভাব স্মৃতি সময়ের কাব্যগানে ...
এখনো অনেকখানি ফাঁকা পরে আছে সিঁড়িতলা চেলেকোঠা ছাতের
টব হাস্নুহানার পাশে পরিত্যক্ত স্থান ; এঁটে যাবে দুই শরীর একমন ,
নন্দিনী কাঁদতে নেই যতই দুমড়ে উঠুক নাড়ী পরিপাক যন্ত্র
তোমার আমার প্রথম সাদাকালো ছবি বিয়ের টোপর
অঙ্গীকারের খাট ফুলশয্যার ফুলদানী'র জন্য এটুকুই যথেষ্ট ...
সব টুকু ব্যবহার হলে- ভবিষ্যতে ওদের টা রাখবে কোথায় ?
উন্নাসিক
ফ্রাঙ্কলি বলছি রাহুল আমার বন্ধুও ছিল না
এমন কি আমার সেলে
ওর নামও ছিলোনা সেভ করা
রাতের সেক্স টকিং দুরে থাক
নববর্ষের হায় হ্যালো পর্যন্ত হয়নি কোনদিন ।
এক কলেজ , এক সাথে সায়েন্স
জানতাম লেডী কিলার হার্ট থ্রব যুবতীর
পর্ণার প্রেমিক
টুকেটাকে পাশ , দেখতাম ম্যাটিনি
মজাতে মজে আছে...
নার্সারি থেকে সেই যে মা হাত ধরে ছিলেন
ছাড়লেন এই সেদিন কলেজে
একুরিয়ামে রঙ্গিন মাছের মত
ঠক্কর খাই কাচে,
বগল দাবা হয়ে গেল যেসব হাত
বিশ্বাস করুন... আমি সেখানে নেই !
মা বলতেন ছেলেদের সঙ্গে মিশবি না
কাছাকাছি তো নই , এমন কি যেবার
রক্ত দিয়ে লাভ লেটার পেলাম
রাতে সঙ্গী গেল বেড়ে মা
আর গাঢ় করে ধরে রাখতেন আমার দোপাট্টা ।
বিশ্বাস করুন...
আমার একদম ইচ্ছা ছিল না
কি যে হয়ে যায় সব ,
রাহুলের হাত ছাড়াতে গিয়েও ছাড়াতে পারলাম না
সুমিত্রাদের বাড়ি , অথচ প্রেম নয়...
গণ্ডগোল ... সব গণ্ডগোল ... প্রথম উষ্ণতার জন্য ...
সব কি তবে " কেমিকাল লোচা " ......
স্বর্গ হতে দূরে
হাবিজাবি দড়ি ; মরণ নেই...
মা বলতেন নিজেকেই
উৎপাতে দুঃখতাতে
শীতল পাটীতে
রেখে মাথা পশ্চিম দাওয়ায়
কেঁদে আমরা
মা যেও না
মা কথা শুনতেন
আড়ালে মুচকি হেসে ...
০২
তারপর ভেবেছি
মরণ চাইলেই বাঁধা দেন প্রিয়
যতবার রশি হাতে আঁধারে
শূন্য
বলে না যেও না , কেউ ,
দাঁড়িয়ে থাকি
দাঁড়িয়ে থাকি
অপেক্ষায়
আঁধার নিভে আলোর আয়েজন ...
০৩
ভয় নেই জীবনে , মরণে ?
লাবণ্যপ্রভা
আরো দুই মুহূর্ত অনবিল
হাঁসে মাঠে
তোমার বেণীঅগ্রে ছুঁচোবাজি
আমার তর্জনী তোমার স্তন
চার প্রহর
তবে কেন মরণ প্রিয় ...
০৪
শীতল জলের কলশী রেখো তৈরি
আগুন অস্থি
নথুবা তোমার জল
০৫
স্বর্গ নেই দাবীতে
শান্তি পানসে , সুখ নেই ,
নেই আগুন পোকা পোকামাকড় হিম চাঁদ
ভবিষ্যতে তোমাকে দেখার রাস্তা
নরক ভালো
লাবণ্যপ্রভা
একবার রাতে
মরণের পথে বাঁধা দিয়ে দেখো
অপরিচিত ভেবে
রশি বাঁধবোই গাছে ...
ভিনসেন স্মিথ
দেবালয় ছেড়েছি অনেককাল , স্কন্দকাটা শব নিয়ে রাত্রি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
রাত্রি , নিশাচরের খাদ্যর অভাব নেই জেনে অস্তিত্ব ইলোপ করে
রক্ত পিশাচ হায়না ,সম্পর্কহীন আয়নায় প্রথমবার এক জীবনছবি
মানুষের , কতকালের এই জন্ম- জন্মভূমি কিছু বাল্মীকিস্তুপ
নগ্ন পায়ে উল্টিয়ে ক্লান্ত - ঐ ঐতো জ্বলন্ত রোম ফেলে
প্রাথমিক যীশু , দরজা বন্দ এই বেলায় !
"ভিনসেন স্মিথ" কিছু সংজ্ঞাতে বিচিত্র ঐক্য আরো পুরনো "সংঘ " "সমিতি "
কতকথা বই হয়ে আমাদের পড়িয়েছে অন্তর রেখে শূন্য ,
লাল চিনেছে লাল চিরকাল , মৃত্যু ফ্যাঁকাসে গন্ধ বিটকেল লাল ঝরে গেলেই
বিবর্ণতা - তবু মায়া , শিশু বোঝে না এতো সব হিসেব শহীদ মূর্তিতে
পিতা খোঁজে রঙ দেখে দেখে ।
মোম আগুনে শোকসভা বিচিত্র ভাষণ বিরিয়ানি প্যাকেটে শহীদ তর্পণ ...
একদিন বছর কুড়িপর
বাবুঘাট মহালয়া পিতৃতর্পণে , মিছিল রোষ , গুপ্ত নিহত '
ভিনসেন ইতিহাস পড়ে বল আছে কি লাভ !
সর্বমঙ্গলা ঘাট
জানালা খুলে দিলে পাশাপাশি কিছু মানুষ আমাদের
ছায়াকল্প- কাছের সর্বমঙ্গলা ঘাট পোয়াতি বঁধু মহিষের
স্নানঘন নিরন্ন বালকের জলকেলি ছায়া স্বপ্ন চৈত্র মাস ।
জোনাক জ্যোৎস্নায় মথ গুটিপোকা শুঁয়োপোকা দল বেহমিয়ান
সন্ন্যাসী ব্যোমবোল চরক মেলায়- কাছে বোস আমবাগান পুঁটুলিতে
গুঁটি আম বিমল ঠাকুমা আচারের বয়েম রোদে পোড়ে
চিল এতো সব না বুঝেই হা চোখে উদাসী হাওয়ায় !
জানালা খুলে দিলে মেঘে মেঘে সন্ধানী কিশোর বেলা
গাঁদিকোটে পরন্ত বিকেল ছায়া মায়া আঁধার স্থির সময় ,
নীমতলা চাড়া খেলা ডাংগুলি সেজো কাকিমার স্বাদের শার্সি
পতন অন্ধ নরুল লজেঞ্চ বয়েম নিয়ে প্রথম লোকালে ,
টোকা মাথায় লাঙল কাঁধে কে যায় ? নন্দা যেন ? বাপ মা
হারালো বাণে সেই বছর " মিড ডে মিলের " পায়নি অধিকার
কেন কে জানে ! আছে কি অভিমান মনে !
জানালা খুলে দিলে পাড়া মাতানো সোহাগী বধু নীমডাল
মুখে পুরে যৌবন কলশী কাঁখে পরকীয়া সোহাগের গল্পে
মশগুল জলন্ত কষ্ট ভুলে , হারুণ খুড়ো তিনকূলে নেই কেউ
বড় ছেলে সেই গেল বিদেশ ছোট ছেলে কয়লার কারবার বঁধু নিয়ে
আছে সুখে ভিন্ন গা'য়ে , খুড়ো হুপিং কাশির রুগী একা নিরালা
দুপুর হুঁকোর জল বদলে ঝিমমেরে কি জানি কি ভেবে একসা ,
রমলা কাকিমা সিঁদুরের অধিকারে বঞ্চিত রক্তের অভিলাষে
পরিবর্তিত পরিস্থিতি সময়ের , চুপচোখে পাখি বসে
সারাদিন খুঁজে ফেরে বিমল কাকু !
এখন জানালা খুলে দিল ডাক পিয়ন ইলেকট্রিক বিল ভাড়াটিয়া নোটিশ
চুপ থেকে বুঝেনিই সময় বিলিয়ে ভিকারি হয়েছি বটে !
No comments:
Post a Comment