লিগনাইট
তর্জনীতে ধরে রেখো না সময় সায়ন , "এভাবে প্রেম দেবো না " ;
মৃত নগরীর গল্প গানে কোদালে শাবলে ।
দুঃশাসন , প্রকাশ্য রাজপথে দ্রৌপদীর নগ্নতা ঢাকার
বাঁশি সুরে টায়ার জ্বলে , না না বাঁশরিয়া শ্যাম ?
মড়ক তান্ত্রিক কাপালিক শ্মশান আলো
একাদশীর সামিয়ানা
যোগ ক্ষণ মধুমালতী বঁধু সফেদ বিছানায়
মোম আগুন ঘি
যজ্ঞডুমুর পাতার প্রসাধনী বিজ্ঞাপন , এক
এবং অদ্বিতীয় তৃতীয় চক্ষু দলেরা
ভীর নাগরিক হর্ন পর্ণমোচী দীঘি জিউস মন্দির
সাঁওতাল পরগনা কাকলী হাঁসদা
বিজলী নাচে ক্যাবারে খাবারে মচ্ছবে হরিবোল
দাবাগ্নি মুখাগ্নি
সব মৃত , মৃত নগরীর গল্প !
হরপ্পা থেকে হাঁটছি ... এক ঈশ্বর এক আমি
আর নদী পাদদেশ ধরে তোমাদের বসত
শাশ্বত অনাদী ভূগোল
না না না প্রেম দিই নি আমিও
সিগারেটে জ্বালিয়ে দাও আমাদের
দাহ্য কতোটা হয়েছে মেয়ে
পুরুষ দাহ্য বড্ড ভালোবাসে হাটে মাঠে কাঠকয়লা
অথবা লিগনাইটে
ফিচেল
ফিচেল রোদ
মনে করি খাদ্যের আমন্ত্রণে
প্রেমপত্র লেখা ব্যাস্ত হাতে
সব দুঃখ
এক কেন্দ্রীক , সরল নারী পুরুষ মুখ ।
অনেকবার আত্মাহুতি দিতে গিয়ে
ঈশ্বর মুখ দেখে ফিরি নিই
অবাক দৃশ্য
সার বেঁধে পিঁপড়ে
খাদ্য সন্ধানী
আমরা
ফিটকিরী দাড়ি নিম্নাঙ্গ , বীক্ষণে খাতা আঁকা স্তন
রাত্রি কামনায়...
প্রেমপত্র লিখবো আমিও এবার , যীশুকে !
দাসত্ব
সোমত্ত দাসী দাসখতে এক একর জমিন তুলে দিয়ে
জমিদারে -- এবার শান্তি শ্মশান ; ফলিয়ে নিও ফসল
হেমন্ত বসন্তে ভাদ্রে ,
যদি চণ্ডালী রাহুকালে শৃগাল সঙ্গিনী
রক্তহিম বুদবুদ
একটাও রক্তবীজ দ্বিতীয় জমিনের অধিকারে
খুঁজবে না আঁচল !
কথা দিলাম ; "ভারুদত্ত" , "সাইলক" কসাই "জগায় "
বৃন্দ পাখি কদম ফুলে যমুনা ঘাট
কংশ আংশিক সিংহাসন
রমণ রতি মোগল সম্রাট ,
চুপ ,
আমি কালেশ্বরী অসুরদামিনী মহাকাল...
বৈপরীত্য উত্তাপে জল শুঁখিয়ে লবণ
কামসূত্রের পাতায় উন্নত লিঙ্গের জবানিতে
যবন বা সনাতন
নারী গহ্বর নয় , অসীম শূন্যতা নিজের ; আমিও
মা হতে চেয়েছিলাম , শরীরে নয় ।
মা ... মাআআ
সময় কিম্বা দেবতা ঘৃণা করি...
সতেজতা ছাড়িয়ে পৌরাণিক উগ্রচণ্ডা ধূম্রজালে
বিনাশিনী আসুরিক লিঙ্গ
জনপথে খেটেখাওয়া দুইচার ঘণ্টার চরিত্র এরা , এদিকের আমাদের ।
অস্ত্র বিদ্যা সাম্রাজ্যবাদ টঙ্কার সে সময়
প্রেম নয়
অস্ত্র জীবনের প্রতিবন্ধু ; ভালোবাসা মানায় তোদের মুখে ?
গ্রহনের অপরাগে তোমাদের মনগড়া ভাষণে ;
শঙ্খ চক্র গদা কোনকালে
প্রেম বিলিয়েছে জনপথে ? লাশের গন্ধে
মাতোয়ারা পবন
উড়িয়েছি জনতা দেবালয় ; চমৎকার , চমৎকার
দ্বিচারিতা জনার্দন ? আজো
নিঃশ্বাসে বিষ ছড়িয়ে গহনায় মাতৃমূর্তি !
ঠাম্মা
"ওরে এই বেলায় বেরুস্নি দাদা দিনকাল ভালো লয় "
কেন ঠাম্মা ? জীবন ভাঁটিচরের দ্বীপ ; " মরণ ! বালাইষাট !"
ঠাম্মা বলেন বটে এই কথা- আমি দেখি এক অনাকাঙ্ক্ষিত
শব্দবাণে ধরাশায়ী বৃদ্ধা ; কতোটুকুই বা রক্তের যোগ ?
ভাসাভাসা চেনেন বোধহয় আমাকে , আমার রাত্রির উপন্যাসে
তাকে রাখিনা অথবা কলেজ ক্যান্টিনে বেঞ্চ পিটিয়ে
ববডিলনের ভালোবাসা নিয়ে খেলায় মেতে ছুঁয়ে বিশ্ব , ঠাম্মা
সূচে সুতো ঢোকানোর আপ্রান চেষ্টা ভালোবাসার অনুরোধে !
ঠাম্মা দেখেনি অনেক কিছু , পাতাল রেলে সেবার যখন চলন্ত সিঁড়িতে
হুমড়ি খেয়ে পরে গেল , সামনের আধুনিকা হেসে উঠলো যখন
আমি লাল ... কৈ আমিতো বলতে পারিনি ওরে ছুড়ি টুইও মঙ্গল
দেখিস নিই এমন কি বাড়ির পোষা কুকুরের ন্যাজ কখন নড়ে
তাও বলতে পারবিনে , অথচ সেই ভীর ট্রেনে অযথা ঠ্যালাঠেলি
নব্য বুট পা মাড়িয়ে আমি আৎকে উঠি " তোর লাগছে দাদাভাই ?
দেখিসনে বান্দর পুলাপান , দাদা দেহেসুনে দাড়া " ।
ট্যাজিক খুঁজতে খুঁজতে কবেই নিজেই ট্যাজিক হয়ে উঠেছি ।
ঠাম্মা চরিত্র উপেক্ষিত রেখে আমার স্বপ্নে ক্যাকটাস ফনিমনসা
ভিয়েতনাম ইরাকে পিকাসো যামিনী রায় নিয়ে
টি হাউসে আঁধার নামিয়ে ক্লান্ত এক অনাবৃত উৎকণ্ঠায় ঘরমুখী
" দাদা সারাদিন কনে ছিলিস ? প্যাটে কিছু পরছে ? আয় আয় তাড়াতাড়ি
চোহে-মুহে জল দিয়ে আয় , আমি তোর মা'রে ভাত বারতি কচ্ছি "
বিশ্ব নাগরিক হতে চেয়েছি ছায়া সময়ে ভগ্ন সময়ে ...
পান খাওয়া ছোপ ছোপ দাঁতের সেই বৃদ্ধা এতোসব বোঝেননিই কোনকালে
তবুও বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠেছেন আমাদের অগোচরে .
অস্পষ্ট
দূরে সরছে জনপথ , ডিমের কুসুমের মতো
পূর্বপুরুষ গ্রাম পেছনে ফেলে এক অমোঘ ঈশারায় ; এবং
রঙের বৈধ অবৈধ প্রকারভেদ
ছিনিয়ে তখনো ক্লান্ত হয়'নি আমার সাইবার , আমার ভবিষ্যৎ ।
কাছেই শাঁকচুন্নির অনুপ্রেরণায়
বৈঁচি ফুলের মালা গেঁথে
প্রতীক্ষিত সময় ; একটুকরো পতন নিঃশব্দে
তার , বুঝি রক্ত ঝরছে শরীরে নিভৃতে গহন তমসায়
চৌকিদার হাঁকডাক ওদিকে
বুঝে যায় বেলা বেড়ে যায়
রাতের । আমার !
অস্পষ্ট রেখায় কিছু ছায়ামুখ প্রাচীন নয় তবু প্রাচীন যেন
খুঁজি সেই কি ?
ঝাপসা ?
অস্পষ্ট থাকতে চাই যারা
তারা'য় হয়ে উঠে অস্পষ্ট ; চোখের দোষ দেওয়া যায় ?
শেষ পুংতি
অদ্ভুত এক আঁধার
অদ্ভুত এক আঁধারে ঢেকেছে মুখ
বিচ্ছিন্ন হতে হতে
একদিন দ্বীপও বুঝে নিয়েছে
শূন্যতার রহস্য
তাই
একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে
খুঁজে নিয়েছে বাঁচার রসদ নিজেই নিজের ।
অভিগোলক এক শূন্য
সময় দুই শূন্য
জীবন তিন শূন্য
নিজেকে আবিষ্কারেরই কিছু সংখ্যাতত্তের ভীর ।
বন্ধু নয় , বান্ধব নয়
জড়ভরত
সময়
প্যাঁচা চোখে নেমেছিলাম আঁধার ভাঙ্গার খেলায়
সম্বলে
অভিশপ্ত অতীত
অজলায় উজাড় করা বিশ্বাস ।
বিশ্বাস রেখেছিলাম জলেই শুধু
বিশ্বাস রেখেছিলাম মনে মনে গোপনে সংগোপনে
আর
আমাকে লুকিয়েছিলাম তাদের বিশ্বাসে ।
প্রভু
একি খেলায় নামিয়ে আমারে তুলে নিলে রত্ন ভাণ্ডার
তুমি জানো
হাত খুলতে শিখেছি শুধু
পারিনি ধরে রাখতে
সময়েরও হাওয়াটুকু ।
স্বাদ নেই কোন স্বাদে জীবনে
আমার
জীবনের শ্রেণীশত্রু জীবন ।
নিজেকে হারিয়ে দেওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা
ঈশর
শেষ শ্বাসের আগে
আর
কত দুঃখ দিবি বল ?
চিলেকোঠা
ছায়া শব্দ আর একরত্তি চিলেকোঠা , সম্বল বলতে এইটুকু ,
দ্রাঘিমা ছাড়িয়ে যে শহর পশ্চিমে গেছে সুখ অন্বেষণে
সে গুলো আমি দেখেনি , এমন কি আমার থাম্মা রূপকথায়
উস্তাদ বলে খ্যাত তার চোখে আকাশগঙ্গা
নগর অথবা নাগরিকত্ব অস্পষ্ট রেখায় দৌড়
ঠাকুমা ঝাপসা চোখে দেখবেন কি করে ?
বিকালে নীল মানচিত্রে ঘুড়ি দৌড়ের আসর , সব দেখা যায় ,
নীল কতোখানি রঙ চুষে নিলে বাবা পাওয়ার ফ্রেমে
ঠাকুরদার গ্রাম খুঁজে পান'না
বিলকান্দায় সুপারি সারি ঘোষ পানের বরজ বা'য়ে রেখে
টিনের আটচালায় কাহালপুর গা
ওখানেই উৎসবে মাতোয়ারা খেজুর রসের ভাঁড়
কোনদিন দেখেনিই আর দ্বিতীয়বার !
এখানকার আকাশ নির্মল দুপুর জনতা কোলাহল তীব্র আসক্তি
মাদুকা , মৌমাছি চোখে মধু ক্ষেত
ততোখানি গভীর নয় এই চিলেকোঠা থেকে ,
একাদশী চাঁদ যতোই এগিয়ে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে ষোলকলা
পূর্ণতায় ততই ডুবে যাচ্ছে চিলেকোঠা আঁধারে ;
পিতৃ জিনে যদি আমাদের দিশা আমাদের ভবিষ্যৎ
আমিও কি ভুলে যাবো জন্মভূমি ? একদিন ?
অভিমান
বেঁচে থাকে যদি ; এক চোরাকারবারি দালাল দেহ -
স্বভাবে জাল বুনে; ঋণী রাখে কিছু হৃদয় ।
দিব্য-আলো পিছু ফেলে অভিযানে শবে শ্মশানে ;
শেষ জল ঢেলো না প্রিয় -
ভিজবে না; ভিজবে না শরীর ।
পারো তো নামিয়া দাও ; মেঘমল্লার রবীন্দ্র সঙ্গীত
বৃষ্টি এলে ।
ধান ছড়িয়ে দিতেন কত সেই সব মা !
আমাকে মনে পরে ?
সেই সব মা গল্প করেন ? যখন তুমি ঠোঁট রাঙিয়ে বলো
প্রিয়তোষ বড় ভালো ছেলে !
ঘরদোর কিছু অহংকার ;
লেজ উঁচিয়ে তেড়েফুঁড়ে গলি সারমেয় দিনান্তে
ভাদুরে স্বপ্নে উপোষী । মা
এখনো মনে পরে - জন্মান্ধ ব্যথা সুযোগসন্ধানী নয় ; স্নেহের
নিক্তিতে দেশ তোল প্রতিবেশী প্রাচীর -
শ্মশান ছায়ে প্রথম জলটুকু -
জঠরের ভালোবাসার অনুরোধে !
তখন থেকেই কবিতা এলেই ভিড়ভাট্টা ফেলে
বাবা আসেন ;
মর্গে কবিতার ভাষা আসেনা
খাতা ভর্তি এক গঙ্গা ;
ইদানীং সস্তা জনপ্রিয়তার লক্ষ্যে যা লিখেছি
বাবাকে ভুলে
সবগুলো মর্যাদা পেয়ে গেছে
বাবা কবিতায় এলেই ইতিহাস ।
অমলেন্দু পুরুষ বটে
প্রধানত জানালা খুলে দিলে
তির্যক চাহুনি নিয়ে নিশি এক শিশি অভিমান ঢুকিয়ে বলে
দ্যাখ সেই আঠারোর গন্ধে ময়ময় করছে ঘরে ; সর্বস্ব বিনিময়ে
বাজী রেখে দোপাট্টায় উড়ছে তোর যুবক বয়স
হাতুড়ী বিদ্যায় অপারদর্শী সময়ে চক্রে
বিবাহ সন্ধ্যা ,
সমগ্র মুখগুলো ভীরে নির্জনতায়
ঐ তো গোধূলি লগ্নে মাল্যদান
মনে রেখেছিল তোকে ? মনে রেখেছিল আঁকিবুঁকি খাতায় সেই নদী প্রবাহ
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের নদী ছুঁতে না পারার বেদনা ?
নশ্বর সন্ধিতে
ব্যাভিচারি যৌন যন্ত্রণা'র ক্ষরণকাল শরীর আঙ্গিকে
পতঙ্গ প্রবাহ
জ্বলবে বলেই জ্বলেছে ক্রোধ
জ্বালিয়ে কিছু সময়ের অতিমাত্রিক স্নেহ দাঁড়ালো যখন প্রেমে
বঁধু সাবেকী নৌকায়
দ্বিরাগমন , রসে ভরপুর ।
স্বয়ংক্রিয় সিধান্ত চিরকাল একরোখা মানে না সীমান্ত প্রাচীর
অ্যাসিড খুঁজে
দৃশ্যর অভ্যন্তরের
সমস্ত দৃশ্য কালিমালিপ্ত করে
অমলেন্দু চুমু খায় নায়িকা নাভি
সারারাতের ফুলশয্যায় ।
এক বন্ধু অথচ আমি নই ? আশ্চর্য এক গল্প
সেদিন শিলা বৃষ্টি হয়েছিলো ধুপগুরি
ময়নাগুরি থেকে সেজেছিল মেঘ
রায়চক ভেসে যায় জলে
তন্ময় পাখি হতে চেয়ে ছিল
বীথি কাননে একদিন
সর্বস্ব দিয়ে নিঃস্বতার কাব্যে এক ধুলো
এক পর্যায়সরণী বেয়ে তৃতীয় বর্ষ কলেজ
ক্যান্টিনের চাউমিনে চুল পরে
ভালোবাসার আমন্ত্রণে
সুখী হতে চেয়ে সুখ
রণভূমি চেনে না কিম্বা রেডক্রস মুখ
"চে" বলিভিয়া দাপিয়ে ইতিহাস লিখে
প্রিয় মুখে এঁকে দেন চুম্বন
আরো দুই শত বছর ধরে
আরো ঢের জন্ম ধরে
সেই মৃত্যু
সেই কালো ছায়
অথচ
ভগ্নস্তুপ থেকে দাড়িয়ে
বললে বেশ হতো
শোন
শোন , একবিংশ প্রজন্ম
এই যুগে কান্না সংগঠিত হয় বারবার
এই যুগে ধর্মে আফিমে জিরাফে
গলাগলি
তবুও বীথিকার চুলের স্পর্শ অন্য শকুনে
খাব্লে শরীর মেধ
দিনহাটা ময় রায়গঞ্জ
এক বৃষ্টি নামো
এক বৃষ্টি এই আঁধারে
আমি উলং হয়ে উপভোগ করে নিতে চাই
জ্বালা
ইতিহাসে থুথু পরুক প্রেমের ।
স্বর্গ হতে দূরে... ০৩
০১
ঢেঁকিতে সুর তুলে ধান ভাঙছেন মা ;
একশত আট নাম জপছেন থাম্মা
আঙুলেই পরমপ্রাপ্তি
মা অক্ষর চিনতেন না
আমাকে চিনিয়ে ছিলেন বলে অক্ষরে ভালোবাসা শব্দটা পেলাম
ফাঁকি দিতে পারেনি কানুন
নিজের ফাঁকি বুঝেছি
হরি জলে ।
০২
পদবীতে বাহারি রঙের চাঁদ নেই
প্রতিযোগী আসরে অমোঘ আকর্ষিত
নব্যতার জোয়ার নদী
যে পদবী চাঁদ হতে পেরেছে
নদী নিয়ন্ত্রণের
অধিকারে
জোয়ারে -ভাটিতে ।
০৩
রাস্তাটা দেখেছে সব্বাই ;
আলো নেই
তবুও দুর্গম নয় পথিকের
এক পা এগিয়ে
দশ পা পিছিয়ে গেলাম যেদিন
সূর্যটাও
ছিলোনা সাথে ।
০৪
সকলেই জানতো কিছু হবে ছেলেটার ,
মধ্যসত্তাভোগী ফোড়ে'রা
চিটে ধানেও
নিজেকে ভরেছে অর্থে
গৃহস্ত বোঝেনা তা নয়
সব হিসেব গোলমেলেতে মর্যাদা পায় ।
০৫
একপেশে সময়ে নারীমুখ
লাবণ্য জীবন
ঠোঁট নাচিয়ে
বাসর শয্যা
বজ্জাত সময় এমবদ্বিতিয়ং স্বর্গ সোমরসে দেবগণ
ভ্রুকুটি , জটিল যন্ত্রাংশ নর
ফেনিল মুখে লালাসায়
শরীরের খনি
তবুও মৃত্যুতে অধিকার বিনে
ধরে রেখেছো
চিরকালীন বসন্ত ভূমি , ধিক !
বন্ধু ও মৃত্যু
আবারো দর্পণে স্মৃতি ঝড় উড় খই'য়ে
মুখোশ মানব লাশ ঠেলে কাঁধে কাঁধে
শ্মশান কাঠ মৃত্যু নয় কোন দৈবদুর্বিপাকে
হা-চিতায় গলিত শব বাহক ভাবে না এতোসব
আমাদেরই পূর্বপুরুষ ব্যধি
যতোই অবিশ্বাসে বক্রহাসি যুদ্ধ জয় মনে
মনে অজানারে জানার বৃথা আত্মগরিমায় লিখে গেছো ছন্দ
উৎপাদিত ভোগ্য হোক বা ষোড়শী হৃদয়
গোলাপের ভালোবাসা
মূর্খ ছিলে তুমি
ভণ্ডামিতে অধিকার ভোগ মহাশয় ঋতু আবর্তনে
সরছে যোগ
অথর্ব হতে চেয়ে নিজে
অথর্ব ভেবে ফেলেছে সব প্রাণীকূল ।
আগুন দ্যাখনি বলেই রূপকথার গল্পে ঠাকুমা অন্ধ
ইদানীং ছদ্মবেশী ছায়া গাছে ছড়াচ্ছে অক্সিজেন ভেবেছে মন
সূর্যে ত্বেজ প্রথম দিককার
আর সূর্যও বন্ধু হয়ে ওঠেনি আজকাল !
No comments:
Post a Comment