সংখ্যাধিক্য ভীরে হারিয়েছে শৈশব ;
যুগাতীর্ণ প্রতিভা পিঠে ব্যাগ ।
একটাও সূর্য নমস্কারের সময় দেয় নিই পিতা
মানুষ হয় নিই যন্ত্র একটা হয়েছি খাসা
বিষাদ নাগরিক
দূর হতে গোধূলি গোরুর পায়ে পায়ে নামছে
মন খারাপের সন্ধ্যা ; শ্যাপলা ফুল হতে উড়ে গিয়ে
দিনের শেষ প্রজাপতি বলল কালকে আসবো ফিরে ।
ঐ দূরে দ্যাখো চেয়ে গাঁ ; আর মা কাকামি দাওয়ায়
সোনালী আলোকছটা রাঙ্গিয়ে দিয়েছে কপোল আর
হাতে হাতে বাঁধছেন চুলে সন্ধি গিঁট , আর এওর গায়ে
ঢলে পরছে আহ্লাদী সন্তানের মতো ; কিন্তু কোলকাতা
ডুবছে বিষাদে ।
দূরে আরো দূরে পিরামিড দেশে তুতেন খামের লাস্যময়ী
পৌত্রী এক যৌবনে কখনো প্যারিস হিলটন কিম্বা মনরো
হলিউড নগ্ন করে স্যুইটে ; তারও ঠাকুমা শিয়রে এসে
বলে যায় ওরে ভোলা ফিরে চল আমাদের গ্রামে ।
ভালো নেই নগর , ভালো নেই জলহাওয়া ; একসময়
মানুষ ছোট্ট ছিল বলে বিষাদের আভরণে মনন ছিলোনা
ঢাকা ; পার্থিব বস্তু সম্ভারে ডুবছে হৃদয়ের সমগ্র অঞ্চল
আর অপূর্ণতার আক্ষেপে আমি বিষাদ নাগরিক ।
এপ্রিলের দুঃস্বপ্ন
তখন দিগন্ত ধরে রামধনু অলীক অলীক স্বপ্নের ; ঝঞ্ঝার
পরেই আগুনের উত্তাপ মনের সরণীতে রঙের উৎসব ,
তবুও ক্ষানিক পরে নিভে গেলে আগুনের উৎস জোনাকিরা
করে দিনের আয়েজন ; আর কেরোসিন শিখাতে রাতের নিস্তব্ধতা ।
ঝিঁঝিঁর কর্কশ থেকেও আরো কিছু গভীর স্বর ডেকে ওঠে
খোলা আঁধারে , আমাকে বিহমিত করে তুলে নিয়ে যায় গভীর আবেশে
তারে পারিনা ফেরাতে !
দেখি এক আঁধার আসরে মেলেছে সংসার এক অবিনশ্বর আমারই
আমার পিতা পরমেশ্বর ," বলে কেমন আছো ? " ভালো আছি
ভালোই তো থাকবার কথাছিল , যেমন পরিনত শাবক ছেড়ে
চলে যায় জন্ম পিতা ...
তুমি তো তাও করনি , অথব তোমার মনে ছিল স্বাদ পিঠে- পাটালি
ল্যাংড়া আমে জেগে ছিল তোমার স্বাদ , কত দিন খাওনি ঘৃণা করে
উপেক্ষার এই দাবাকাশে ।
তুমি নেই বলেই ভালো নেই আমি , বোধহয় কেউ ভালো নেই
তবুও সম্মুখ সময়ে ভয় লুকিয়ে রাখা চাই জয়ের জন্য ।
এখনো এপ্রিল জুড়ে তীব্র তাপদাহ কাঠফাটা শূন্যতায় ভেসে ওঠে
বোরো ধান আর তিলের শুকনো গাছের উঠোনময় জঞ্জাল ।
আমি নির্লিপ্ত অনুতাপে কাজে অকাজে এখনো এপ্রিলের দুঃস্বপ্ন দেখি
প্রতিটি এপ্রিল শুঁকিয়ে দেয় আমার এক গ্যালন জল ।
গরু খিদিয়ে খেদিয়ে পাচন হয়েছে বড্ড শক্ত
লাঙ্গল কি পারবে এই জমিতে বুনতে শস্য ?
কাক ডাকা ভোরে উঠে পরে রামকানাই
আদালতে হাজিরা নইতো হাজত বাস ।
লাঠির বারিতে গরু হয়ে যায় মদ্দ ।
আজো চমৎকার মেনে নিয়েছ প্রপিতামহ আঁধার পক্ষ আর আগুন জ্বালিয়ে
দেখাচ্ছ আলোর পথ ; চমৎকার দ্বিচারিতা প্রপিতামহ । ঐ দ্যাখো দূরে শব্দ টঙ্কার
আর কিছু পাখি পরছে খসে ; এরাও ভালোবেসে ছিল জল কিম্বা নারীর সান্নিধ্যে ; অথচ
চমৎকার মেনে নিলে দূষণের কুরুক্ষেত্র ।
চমৎকার শুলচক্রপানি মহাধিরাজ ; চমৎকার জুগিয়েছ ইন্দন খুলে দিয়েছ শকুনের
ভাগাড় ! চমৎকার হাড় দিয়ে করেছ শস্য চাষ ; ভরেছে কি ধানের গোলা ।
ওহে সঞ্জয় ! দ্যাখো তো দেখি কি ঘটছে ওখানে , সবিস্তারে বর্ণনা করো এই অধমে !
ওহে চমৎকার ! অন্ধ নওকো তুমি জ্ঞ্যানান্ধ হয়েছ আজি । ওহে প্রাজ্ঞ কোন ধর্ম বলে
ত্যাজিলে আপন স্বজন ? সমগ্র বিন্দু তোমার ধর্মের বীজ ওড়ে ?
নিঃসঙ্গ
এক উদাসী মেঘ আর নিঃশব্দে হেটে চলা এক মেয়ে
নিরন্ন সময় ক্যাফেতে ভীর বাড়ে
অঙ্গুলের ডগায় আস্ত পৃথিবী ; অধিকারে জন্ম দিয়েছে জগত
আহারের আজো দেইনি অধিকার ।
দুই আমি লাল সালোয়ার পরলেও নাকি স্পর্শকাতর যায়গা
গিলে খায় দৃষ্টি ; অযাচিত বন্ধু হেতুবিনে পথ খোঁজে মাটি খুড়ে ;
আমি যদি বলি এই পথ গ্যাছে বেঁকে , সেও বলে গ্যাছে বেঁকে
দেখছি তবু সে চোখে চশমা পরে নেই ।
তিন অপ্রত্যাশিত শার্দূলে আমার সংসার ; এখনো পশুদের মাংস
দেখলে লালা ঝরে যদিও বিবর্তনে লালা চেপে রেখেছে ভেতরে ,
সকালে পেটে ভাত পরেছে কি ? বলে না , নিজামের গল্প বলে ।
চার এভাবেই হেটে গেছেন গহরজান থেকে বিনোদিনী অথবা
আমার ঠাকুমা ; বদলায়নি আঙ্গিক বদলেছে শুধু পেক্ষাপট ;
ভীর বাস আমি একা আর নিঃসঙ্গতা ;
No comments:
Post a Comment