লাইন
অতএব এখানে ওখানে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে
রক্ত ঘামে এখনো কাজ করি পাথর খাদানে ।
রোজ রাতে চাঁদ ডুবে গ্যালে চোখের মত
এক নিয়মিত আঁধার আসে ।
ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ থেমেছে অনেক আগে
পাশের মরা গাঙের ও নেই কোলাহল ; শুধু সঙ্গী ঝিঁঝিঁ
এক কর্কশ বিলম্বিত তালে গেয়ে চলে জীবনের গান ,
দূর থেকে ভেসে আছে কীর্তনের সুর , তখনি
স্বপ্ন দেখি সেই সিঁড়িটার ।
আশ্চর্য এক আলোকচ্ছটা ঠিকরে বেরুচ্ছে সিঁড়ি থেকে , লম্বা ,
লম্বা আমাদের ঐতিহাসিক ভাইদের লাইন
পৃথিবীর সমস্ত চরিত্র জমা হয়েছেন ,
আমিও দাড়িয়ে আছি এক কোনে ।
ঐ ঐতো আমার পিতা পিতামহ ! আজো লাইনে ? ঐ তো
দূরে সম্রাট খোঁজ নিয়ে ফিরছেন লাইন কতোটা পেরিয়েছে পথ ।
ইঞ্জিনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় , আলোতে খেলছে চরাচর ।
ভাবি লাইন অনেক বড় আর আমার পরে আছে অনেক কাজ ;
লাইন গুলো এগিয়ে যাক কিছুটা দূরে
তারপর না হয় লাইনে দাঁড়াবো ধীরে সুস্থে ।
ঈশ্বর অথবা .........
অহংকৃত বিশ্বাসে ঈশ্বর ক্রীতদাস আমি
গ্ল্যাডিয়েটর । নীরো বেহালায় সুর তুলছেন
রোম আমাদের বর্তমান ।
যেদিন হারুন অল রসীদ মরেছেন মরুভূমি
জল শূন্য ; টাইগ্রিসে লম্বা লাইন নারী পুরুষের
হাসান- হুসেন কতক্ষণই বা লম্বা লড়াই
করতে পারেন !
যেদিন হতে ঈশ্বর কুক্ষিগত দানবে ; হোমাগ্নি
যজ্ঞ ডুমুরে মিডিয়াম পুরোহিত ; সতীর পায়ের
অংশে মচ্ছবের আয়েজন
বোঝা উচিত ছিল সন্তান মনুর
ঈশ্বরের ফিরবার পথ আটকে গেছে ভীরে ।
ক্ষিদে নেই
নির্বাচিত শব্দ ভাণ্ডারে সেই শব্দ আর নেই
খুঁজে খুঁজে হয়রান ; নীলে চিল উড়ে যায়
খোঁজ রাখিনা তার ।
মাঠে খুদকুঁড়া খোঁজেন আমার মা ; মাথার উপর
সমগ্র রোদ ঝরছে স্রোতের বিন্যাসে ;
উদাস হতে চেয়ে মাঠে বিকাল আসে যখন
আমার মা ঘরে ফেরেন
আমরা পাঁচ ভাইবোন
এক সংখ্যার নামতা শেষ করতে পারি না ।
তখন থেকে সেই শব্দ এখনো পেলাম না ;
ছায় গাঁদায় মৃত আগুন
অথচ আগুন মৃত নয়
অথচ খাদ্য নেই
অথচ খাদ্যর অভাব নেই ।
সেই শব্দ এখনো পেলাম না ; মা বলেছিলেন
"ক্ষিদে আছে "
আমি খুঁজছি , তামাম পার্লামেন্ট জুড়ে বলছে
দেশে ক্ষিদে নেই
সমগ্র ইতিহাস থেকে এক রাতে ক্ষিদে শব্দ গেছে উবে...
আমি খুঁজছি
তবু পাচ্ছি না , দেখেছেন আপ্নারা ?
বা পাশ
ইন্দ্রাতিত কিছু ঐন্দ্রজালিকা ইতস্তত ঘোরাফিরা ,
এমব্দিতিয়ং স্নায়ু কোষে একমাত্র ঈশ্বর পিঁপড়ে অনুভূতি
দিয়ে এক বিন্যস্ত জাল । সরল অথচ জটিল তর্কাতিত
মোলায়ম রেশমি সুতোই বাঁধা পুতুল ; নড়নে প্রমানিত
জ্যান্ত । সংবহন তন্ত্রিক নালিকায় বৈজ্ঞানিক জৌগ
ইন্ধনাগারে এক পিপে হাওয়া রসদের আবেদনে ।
অবিশ্বাস্য শল্পিক জরায়ুতে এঁকে দিলেন শিল্প আদিমতার ;
অথচ দ্যাখো চেয়ে কমতির অনুশোচনা বিনে ইভ নিয়মিত
প্রবাহিত জাহ্নবী ।
ভানুমতী নয় এখানে , এটুকু আর্ট কলেজের প্রথম বর্ষের
ছাত্রের কেরামতি , গণেশ পাইন আছেন পেছনে ।
এতএব ; বুকের বা পাশে এক পানপাতা সামান্য দ্যুলোক
অথচ ধীর স্থির নিয়ন্ত্রিত এক মহাকাশ ।
এক রক্ত আর কিছু মাষের অধিকারের নিয়ন্ত্রক মস্তক ...
আর পূর্বপুরুষ হতে এক সংক্রমিত রূপান্তরে এখনো
অনিদিষ্ট যা কিছু তার নির্দেশনায় বা পাশটায় সবকিছু ।
No comments:
Post a Comment